ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এ উপলক্ষে তিনি সবার সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও অনাবিল মঙ্গল কামনা করেন।
শনিবার এক শুভেচ্ছাবাণীতে উপাচার্য বলেন, বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ ও চিরন্তন প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষের উৎসব একটি অসাম্প্রদায়িক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সর্বজনীন উৎসব।
আবহমানকাল থেকে বাঙালি জাতি নিজস্ব ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, রীতি-নীতি ও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করে আসছে। এর সঙ্গে রয়েছে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীসহ বাংলাদেশের সব ধর্ম, বর্ণ ও গোষ্ঠীর নিবিড় সম্পর্ক। পহেলা বৈশাখ সব শ্রেণি, পেশা ও বয়সের মানুষের মাঝে নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটায়। নববর্ষের প্রেরণায় মানুষে মানুষে গড়ে ওঠে সাম্য, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি।
উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, অতীতের গ্লানি, দুঃখ মুছে অসুন্দর ও অশুভকে পেছনে ফেলে নতুন কেতন উড়িয়ে বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ সবার জীবনে আরো সমৃদ্ধি বয়ে আনবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ সব ক্ষেত্রে দেশ নব-উদ্যমে আরো এগিয়ে যাবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল আরো বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ব্যবসা, বাণিজ্য, অর্থনীতিসহ সর্বক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি ও সাফল্য অর্জন করে বিশ্ববাসীর কাছে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। সাফল্য, উন্নয়ন ও অগ্রগতির এই ধারা নতুন বছরেও অব্যাহত থাকবে বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
Copyright Banglar Kontho ©2024
Design and developed by Md Sajibul Alom Sajon