আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ সে কারণে বিপুল জনপ্রিয় চাইনিজ এ্যাপ টিকটক বন্ধ করছি—করব করতে করতে গত মঙ্গলবার সিনেটে এই বিলটি পাশ হয় ৭৯—১৮ ভোটে। ইসরাইল, ইউক্রেন ও তাইওয়ানে অর্থ সাহায্যের বিলের সাথে টিকটক বিলও পাশ হয়। বুধবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাংবাদিকদের কাছে এই বিলটি স্বাক্ষরের কথা নিশ্চিত করেন। খবরটি প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন পোস্ট, নিউইয়র্ক টাইমস সহ সব প্রভাবশালী পত্রিকা। এই বিলের শর্ত অনুসারে এখন টিকটকের প্যারেন্ট কোম্পানি বাইট ড্যান্স ৯ মাসের মধ্যে এই এ্যাপ বিক্রি করে দিতে পারবে অথবা আমেরিকার সরকার যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহার নিষিদ্ধ করবে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন উক্ত ৯ মাসের পরে আরো ৯০ দিন বাড়াতে পারেন।
ওয়াশিংটন পোস্ট লিখছে, টিকটকের ১৭ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে আমেরিকায়। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ১৭ কোটি ব্যবহারকারীর একাউন্টে চাইনিজ সরকারের গোয়েন্দাদের প্রবেশাধিকার রয়েছে। তারা এই ব্যবহারকরীদের ড্যাটা গ্রহণ করতে পারে। ফলে এটা আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে হুমকিস্বরূপ।
তবে ঐ দিনই, বুধবার জানিয়ে দিয়েছে, তারা কংগ্রেসে পাশ হওয়া এবং প্রেসিডেন্ট স্বাক্ষর করা বিলটি আদালতে চ্যালেঞ্জ করবে। কারণ টিকটকের সিইও শাউ জি চু বলেন, এটা আমেরিকার মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষের ফ্রি স্পিচ অধিকারকে খর্ব করবে। তিনি বলেন, আমেরিকার প্রযুক্তি কোম্পানি ওরাক্ল্ ও প্রজেক্ট টেক্সাস ইচ্ছা করলেই আমেরিকান সরকারের সেনসিটিভ তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে।
যাদের টিকটক একাউন্ট আছে তারা তাদের একাউন্ট ইউটিউব, ইউটিউব শর্ট বা ইন্সটাগ্রামের রিলস ব্যবহার করতে পারে। এছাড়াও রয়েছে স্ন্যাপচ্যাটের স্পটলাইট। পোস্ট বলছে, টিকটক যদি শেষ পর্যন্ত আমেরিকা থেকে তাদের এ্যাপ স্টোর রিমুভ করে, তাহলে আরো কোম্পানি টিকটকের বাজার দখল করার জন্য ঢুকে পড়বে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমেরিকার ৭০ লক্ষ ব্যবসায়ী সংকটে পড়বেন টিকটক বন্ধ হলে। কারণ টিকটকের মাধ্যমে তারা তাদের পণ্য বিক্রি করে। এছাড়াও আইফোন ও এ্যানড্রয়েড ফোনের ব্যবহারকারীরা যদি তাদের সেটিং আপডেট করার সময় অনুমতি চায় কাউকে ট্র্যাকিং করার জন্য, তাহলে ‘নো’ বলতে হবে।
Copyright Banglar Kontho ©2024
Design and developed by Md Sajibul Alom Sajon