তথ্যগুলো জানলে যে কেউ শিউরে উঠবেন। আপনি হয়তো আপনার ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পেলেন। তাকে আপনি চেনেন না। তার প্রোফাইলও আপনার অচেনা। উক্ত ব্যক্তি আপনার সংরক্ষিত টুইটার একাউন্ট দেখারও অনুমতি চাইল। সেই সাথে আপনার প্রাইভেট ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে একটি ‘ফলো’ রিকোয়েস্ট পেলেন। তাকেও আপনি চেনেন না। এই রিকোয়েস্ট পাঠানো ব্যক্তি হয়ত নিউইয়র্ক স্টেট পুলিশ।
ডোমেস্টিক নজরদারি বাড়ানোর লক্ষ্যে ৯/১১ এর পর থেকেই নিউইয়র্ক স্টেট পুলিশ ‘ফিউশন সেন্টার’ পরিচালনা করছে। এরই অংশ হিসাবে পরে যখন সোশাল মিডিয়া ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম চালু হলো তখন সেখানকার লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছ থেকে সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশে তাদের ভেতরে ঢুকে যাওয়ার উদ্দেশে ফ্রেন্ড বা ফলোয়ার রিকোয়েস্ট পাঠানো শুরু হয়। নিউইয়র্ক ফোকাস এবং টাইমস ইউনিয়ন নামক দুটি অনলইন পত্রিকা এই ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে এই খবরটি প্রকাশ করলে আলোড়নের সৃষ্টি হয়।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী নিউইয়র্ক ফোকাস লেখে, নিউইয়র্ক স্টেট ইন্টেলিজেন্স সেন্টার ফেক নাম, ফেক লোকেশন, ফেক ফটো, ও অন্যান্য ফেক পারসোনাল তথ্য ব্যবহার করে মিডিয়া প্রোফাইল তৈরি করে যোগাযোগের চেষ্টা করে। কারো সোশাল মিডিয়া একাউন্টে কোনো সন্দেহজনক তথ্য পেলে তার গতিবিধি লক্ষ্য করা হয়। এবং তাকে পুলিশের নজরদারিতে নিয়ে আসে। এছাড়াও সন্দেজভাজন ব্যক্তির সন্দেহজনক গতিবিধি ও কর্মকান্ড ফলো করার জন্য ডামি প্রোফাইল তৈরি করা হয়। এর ফলে কম্পু্যটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে সন্দেহজনক ব্যক্তির গতিবিধি ট্র্যাকিং করে। এবং কিছু ঘটার আগে তা থামিয়ে দেয়া হয়।
সম্প্রতিকালে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স, হত্যা, আক্রমণ ইত্যাদি বেড়ে যাওয়ায় গভর্নর ক্যাথি হকুল সোশাল মিডিয়া মনিটর করার ক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছেন।
তবে ফেক একাউন্ট খুলে অন্যের প্রাইভেসি নষ্ট করে সোশাল মিডিয়ায় নজরদারীর ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। একই কার্যক্রম রয়েছে নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্টের সোশাল মিডিয়া পলিসিতেও। এছাড়াও লস এঞ্জেলেস, টেনিসি, মেমফিস পুলিশ ডিপার্টমেন্টের নজরদারিতে রয়েছে বলেও লিখেছে নিউইয়র্ক ফোকাস।
এই পদ্ধতি কোটি কোটি সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যে সন্তর্পণে অনুপ্রবেশ হলেও, এর ফলে যে অনেক বড় ঘটনা ঘটার আগেই তা নস্যাৎ করা হচ্ছে, সেটাও সত্য।
Copyright Banglar Kontho ©2024
Design and developed by Md Sajibul Alom Sajon