ইউএস ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশনের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক টাইমস জানালো, আমেরিকায় উৎপাদিত গরুর দুধের মধ্য থেকে টেস্টে ২০ শতাংশ বার্ড ফ্লু ভাইরাস ধরা পড়েছে। বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক ডেইরি ফার্ম থেকে স্যাম্পল সংগ্রহ করে এফডিএ’র টেস্টে এই ভাইরাস ধরা পড়ে। নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, ধরা পড়া এই ভাইরাস এখন পুরো আমেরিকার জন্য অত্যন্ত শক্তিশালী সিগন্যাল দিচ্ছে যে, ডেইরির গরুর মধ্যে বার্ড ফ্লুর প্রকোপ প্রায় ৩৩ শতাংশ।
বিখ্যাত ভাইরোলজিস্ট ড. রিচার্ড ওয়েবি আশাবাদ ব্যক্ত করে টাইমসকে বলেন, আমি মনে করি এখনো এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। আমেরিকার ডেইরি ফার্মে এই ভাইরাস পরিচিত ঐ৫ঘ১ নামে। তবে তার আগে এই ভাইরাস ছড়ানোর প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা জরুরী। এছাড়াও কোন্ কোন্ ফার্মে এই ভাইরাস এখনো নিরবে ছড়াচ্ছে তা শনাক্ত করাও জরুরী।
ইতিমধ্যেই ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার ফার্মগুলোকে নির্দেশনা জারি করেছে যে তারা যেন গরুর শরীরে এই ভাইরাস আছে কিনা জানার জন্য টেস্ট করেন। তবে এই টেস্ট হবে স্টেট ভিত্তিতে। এছাড়াও ফার্মে যারা কাজ করেন তাদের শরীরেও এই ভাইরাস সংক্রমিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২৩ জনের শরীরে এই বার্ড ফ্লুর লক্ষণ পাওয়া গেছে।
এফডিএ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ বিষয়ে বিস্তারিত না জানালেও নিউইয়র্ক টাইমস আশংকা প্রকাশ করে লিখেছে, এই ভাইরাস ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ার আলামত দেখা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সঠিক পদ্ধতিতে পাস্তুরাইজ করলে এই বার্ড ফ্লু ভাইরাস অকার্যকর হয়ে যাবে।
ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব এলার্জি এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজ’র ডিরেক্টর ড. জিন ম্যারাজো বুধবার ওয়াশিংটনে এক সংবাদ ব্রিফিংএ বলেন, তাদের গবেষকরা রিটেইল স্টোর থেকে সংগৃহীত মিল্ক কিনে পরীক্ষা করে দেখেছেন, তারা কোনো ভাইরাস পাননি। টাইমস বলছে, শুধু মিল্কে নয়, মিল্ক থেকে তৈরি চিজ, ক্রিম ইত্যাদিতেও বার্ড ফ্লু পাওয়া যেতে পারে, যদি সেই চিজ, ক্রিম বা আইসক্রিম ভাইরাসযুক্ত মিল্ক থেকে তৈরি হয়।
Copyright Banglar Kontho ©2024
Design and developed by Md Sajibul Alom Sajon