কখনোই কোনো ব্যায়াম করেননি, কিন্তু এখন একটু ফিট হবেন বলে মনস্থির করেছেন। ভাবছেন কিভাবে শুরু করা যায়। ফিট হওয়ার জন্য দুটো বিষয়ের ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দিতে হয়, প্রথমটি হচ্ছে ডায়েট আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে ব্যায়াম। বাইরের খাবারকে না বলতে পারলে, রিফাইন্ড তেল, ময়দা,অতিরিক্ত ভাজাভুজি বা মিষ্টি থেকে দূরে থাকতে পারলে এমনিতেই ওজন কমতে আরম্ভ করে ধীরে ধীরে।
কিন্তু তার সঙ্গে নিয়মিত ব্যায়াম করাটাও একই রকম প্রয়োজনীয়। যারা কখনোই ফিটনেস সচেতন ছিলেন না, তারা হঠাৎ করে কোন ধরনের ব্যায়াম করবেন বুঝে উঠতে পারেন না। আবার এ কথাও সত্য, শরীরকে প্রস্তুত না করেই কাল থেকে দৌড়াতে বা ওয়েট ট্রেনিং শুরু করলে লাভের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বেশি। এমন পরিস্থিতিতে এমন ব্যায়াম বেছে নিন যা আপনার শরীরের জন্য নিরাপদ।
প্রথমে শরীরকে নতুন রুটিনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সময়টা দিতে হবে। যেকোনো ধরনের কার্ডিও এক্সারসাইজ দিয়ে শুরু করাটা সব সময়ই ভালো।
হাঁটা
হাঁটা দিয়ে শুরু করাটা সব সময়ই ভালো। বিশেষ করে সমান রাস্তায় যদি সঠিক জুতা পরে হাঁটতে পারেন তাহলে ক্রমেই শরীরের জোর বাড়বে।
ধীরে ধীরে হাঁটার সঙ্গে সঙ্গে কিছু ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ যোগ করুন। প্রতি সপ্তাহে হাঁটার গতিবেগ বা দূরত্ব বাড়াতে শুরু করুন।
সাঁতার
সাঁতার যেকোনো বয়সে শেখা যায়। আর সাঁতার কাটলে পুরো শরীরের ব্যায়াম হয়। নিয়মিত সাঁতার কাটলে ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠবে ফুসফুস।
অল্প দিনেই পার্থক্য টের পাবেন। শরীর টোনড থাকবে নিয়মিত সাঁতার কাটলে।
তাই চি
জুডো বা কারাতের চেয়ে তাই চির পরিচিতি কম, কিন্তু এই চাইনিজ মার্শাল আর্টে শরীর ও মন রিল্যাক্স করার উপযোগী নানা পোজ প্র্যাকটিস করা হয়। যারা একটু বেশি বয়সে শুরু করছেন, তাদের জন্য তাই চি খুব ভালো অপশন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ব্যালান্স সংক্রান্ত সমস্যা শুরু হয়, সে ক্ষেত্রে দারুণ কাজে দেবে এই টেকনিক।
যোগব্যায়াম
যোগব্যায়াম যে কতটা উপকারি, তা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। সারা দুনিয়া এখন যোগ শিক্ষায় মন দিয়েছে। আপনিই বা পিছিয়ে থাকেন কেন!
ব্যাডমিন্টন
একজন পার্টনার থাকলেই হবে, আর কিচ্ছু চাই না ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য। ব্যাডমিন্টনেও আপনার ব্যালান্স আগের চেয়ে ভালো হওয়ার কথা।
Copyright Banglar Kontho ©2024
Design and developed by Md Sajibul Alom Sajon