তুরস্ক ও সিরিয়ায় যে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে তা শতাব্দীর ঘটে যাওয়া সবচেয়ে বড় ধ্বংসাত্মক ঘটনা। আকস্মিক এ আঘাতে ২০ হাজারের বেশি প্রাণহানি হয়েছে এবং আরো অসংখ্য প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের ফলে অবকাঠামো যেভাবে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে তা লোমহর্ষক।
প্রযুক্তির ব্যবহারের মধ্য দিয়ে মানব সভ্যতা আজ উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছেছে। পৃথিবীকেও প্রযুক্তির মধ্য দিয়ে এক মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংস করে দিতে পারে। কিন্তু আমরা যতই শক্তিশালী হই না কেন,প্রকৃতির কাছে বড়ই অসহায়। মাত্র ৭৫ সেকেন্ডের ভূমিকম্পে তুরস্ককে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে।
তুরস্ক ও সিরিয়ার রাজধানী শহরের বাইরে ভূমিকম্পের আঘাতে যে ধ্বংসযজ্ঞ ঘটেছে তা রাজধানী বা বড় শহরে ঘটলে ফলাফল কিরূপ হতো? নিশ্চয়ই কয়েকগুণ বেশি ক্ষয়ক্ষতি হতো! সে দিক দিয়ে ভারতীয় উপমহাদেশে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প হলে এর ক্ষয়ক্ষতি অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করবে।
ভূমিকম্প মোকাবিলায় মানুষের কিছু করণীয় না থাকলেও ভূমিকম্পসহনশীল ভবন নির্মাণ করতে পারলে ক্ষতির পরিমাণ অনেকটা কমানো সম্ভব। যাইহোক ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তুরস্কের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। এটাই মানবতা।এভাবেই এগিয়ে যাক বিশ্ব সভ্যতা।
সুব্রত তালুকদার
সম্পাদক ও প্রকাশক
দৈনিক বাংলার কন্ঠ।
Copyright Banglar Kontho ©2024
Design and developed by Md Sajibul Alom Sajon