ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশ জ্যামাইকা। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধ এবং ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ক্রমেই গভীর হতে থাকা মানবিক সংকট নিয়ে উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে জ্যামাইকা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
গতকাল বুধবার জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের উপপর্যবেক্ষক মাজেদ বামিয়া ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়াসংক্রান্ত জ্যামাইকা সরকারের ঘোষণাপত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে (এক্স) প্রকাশ করেছেন। জ্যামাইকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই সিদ্ধান্ত জাতিসংঘ সনদের নীতিগুলোর প্রতি জ্যামাইকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাশাপাশি জনগণের অধিকারের স্বীকৃতি দিতে চায়।
’
এ বিষয়ে জ্যামাইকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামিনা জনসন স্মিথ বলেন, ‘ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান দেখতে চায় জ্যামাইকা। তবে সামরিক উপায়ে নয়, সেটা হতে হবে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে।’এদিকে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার জ্যামাইকার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে দেশটির সরকার। ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই কথা জানানো হয়।
এদিকে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের হাসপাতালের গণকবর থেকে মরদেহের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন গাজার চিকিৎসাকর্মীরা। ওই হাসপাতালে ইসরায়েলি অভিযানের একটি স্বাধীন তদন্তের জন্য দাবি উঠেছে। খান ইউনিসে গণকবর পাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ায় হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিকের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনারা শহরটিতে ‘চরম শক্তিতে’ আক্রমণ শুরু করেছে। শহরটি থেকে ফিলিস্তিনিদের দ্রুত সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইসরায়েলি সেনাবাহিনী উত্তর ইসরায়েল থেকে গাজায় দুটি সেনা ব্রিগেড পাঠিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর এই পদক্ষেপ দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে স্থল অভিযানের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এদিকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
গাজায় গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৩৪ হাজার ২৬২ ফিলিস্তিনি নিহত ও ৭৭ হাজার ২২৯ জন আহত হয়েছে।
সূত্র : আলজাজিরা
Copyright Banglar Kontho ©2024
Design and developed by Md Sajibul Alom Sajon