গ্রীষ্মের তীব্র গরম মোকাবেলায় অভিনব এক যন্ত্র ব্যবহার শুরু করেছে আহমেদাবাদের ট্র্যাফিক বিভাগ। কর্তব্যরত সদস্যদের জন্য বিশেষ ‘এসি হেলমেট’ চালু করা হয়েছে। সম্প্রতি ভারতে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কনস্টেবলরা এই ‘এসি হেলমেট’ পরে ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদের রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছেন।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, আহমেদাবাদ ট্র্যাফিক পুলিশের ছয় কনস্টেবলকে পরীক্ষামূলকভাবে এই বিশেষ হেলমেট দেওয়া হয়েছে।
যদি হেলমেটির ব্যবহার সফল হয় তবে আরো ৫০০ হেলমেট দেওয়া হবে।
একটি ব্যাটারি ব্যবহার করে কাজ করে হেলমেটটি। ব্যাটারিটি কোমরে বহন করা হয় এবং প্রায় প্রতি আট ঘণ্টা পর পর রিচার্জ করতে হয়। এটি প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি এবং মাথার সুরক্ষার কাজও করে।
দেখতে স্ট্যান্ডার্ড ট্রাফিক পুলিশেল হেলমেটের মতোই। তবে ওজনে পার্থক্য রয়েছে, ট্রাফিক সদস্যরা যে হেলমেট পড়ে থাকেন তা সাধারণ হেলমেটের চেয়ে ৫০০ গ্রাম ভারী।
হেলমেটটি বিশেষভাবে নকশা করা হয়েছে। হেলমেটগুলোর সামনে একটি অতিরিক্ত ফ্যানের মতো যন্ত্র রয়েছে, যা বায়ু চারপাশ থেকে টেনে আনে এবং ফিল্টার ও ঠাণ্ডা করে তা আবার ছেড়ে দেয়।
উল্লেখযোগ্যভাবে ১০-১৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা হ্রাস করতে পারে। ফলে প্রচণ্ড গরমে ট্রাফিক সদস্যরা একটু স্বস্তিতে তাদের কাজ করতে পারে।
হেলমেটটির উৎপাদনকারী সংস্থা ‘করম সেফটি প্রাইভেট লিমিটেড’র মতে, হেলমেটের ভেন্টিলেশন সিস্টেম আগত বাতাসকে ফিল্টার করে, এরপর মুখের দিকে প্রবাহিত করে। এ ছাড়া তাপমাত্রা এবং ধুলোর এক্সপোজার উভয়ই কমিয়ে দেয়। প্রচলিত ট্র্যাফিক হেলমেটগুলো সাধারণত একটি পাতলা ধরনের হয় কিন্তু এসি হেলমেটগুলো বেশ শক্ত।
ট্রাফিক কনস্টেবল দিব্যরাজসিংহ রানা। তিনি এই এসি হেলমেট ব্যবহার করছেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তিনি বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত অভিজ্ঞতাটি দুর্দান্ত।’ তিনি আরো বলেছেন, ‘যেখানে কাজ করি তার কাছাকাছি একটি ডাম্প ইয়ার্ড রয়েছে। সেখান থেকে ধুলো এবং রাসায়নিক গ্যাস নির্গত হয়। এই এসি হেলমেট ক্ষতিকর রাসায়নিক থেকে আমাকে নিরাপদ রেখেছে।’ রানা বলেন, ‘ভিতরের ফ্যান ঘাম দূরে রাখে এবং আমার শক্তি অক্ষত রাখে।’
Copyright Banglar Kontho ©2024
Design and developed by Md Sajibul Alom Sajon