বিকে ডেস্ক :: স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে না পারলে উন্নয়ন থেমে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের বলরুমে বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ কাউন্টসের (বিএনএইচএ) ষষ্ঠ রাউন্ডের ফল অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্যসেবা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে না পারলে, সব উন্নয়ন থেমে যাবে, বাধাগ্রস্ত হবে। স্বাস্থ্যসেবায় আমরা বিভিন্নভাবে খরচ করি। বড় একটা খরচ হয় প্রশাসনিক কাজে। আবার কিছু অপচয়ও হয়।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে দায়বদ্ধতা ও তদারকি সবচেয়ে বেশি দরকার। দুর্নীতি যদি বন্ধ করা যায়, তাহলে অনেক কিছুর পরিবর্তন হবে। পাশাপাশি উন্নত দেশগুলোর মতো সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে স্বাস্থ্যবিমা চালু করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, চিকিৎসা ব্যয়ের ৬৪ শতাংশ ব্যক্তির ব্যয় থেকে হয়। স্বাস্থ্যসেবায় ব্যক্তির পকেট খরচ অনেক বেশি। আমাদের যন্ত্রপাতি এবং অবকাঠামোতেও ব্যয় করতে হয়। একটা বিরাট অংশ বেতন ভাতায় চলে যায়। এই সেবায় সরকার কী পরিমাণ ব্যয় করে সেটিও সামনে আসা উচিত। অনেক লজিস্টিকস লাগে, প্রচার-প্রচারণার দরকার হয়। নতুন নতুন অবকাঠামো তৈরি করতে হয়, সেখানেও খরচ হয়। মহামারি এলে বাড়তি ব্যয় হয়। যেটি ভ্যাকসিনেশনে হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতে ৩৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য মন্ত্রণালয়ও কিছু সেবা দেয়। যেমন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, সমাজসেবা মন্ত্রণালয় ও এনজিও কিছু স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে থাকে। সব মিলে যা প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। সরকারি-বেসরকারি মিলে স্বাস্থ্য খাতে আমাদের মাথাপিছু ব্যয় ৫৪ ডলার, যা শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের চেয়েও কম।
তিনি আরও বলেন, আমরা হয়তো জিডিপির শেয়ার কম পাচ্ছি, এটি বাড়ানো প্রয়োজন। পকেট খরচ কমাতে হলে প্রাইভেটের খরচ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আবার বিদেশে বড় একটি অংশ চিকিৎসা নেয়, সেটিরও একটা প্রভাব পকেট খরচের ওপরে পড়ে। আবার আমাদের অসংক্রামক রোগের কারণেও খরচ বেড়ে যায়। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় যন্ত্রপাতিসহ অনেককিছু নষ্ট হয়ে যায়। ফলে চিকিৎসা ব্যয়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এ জন্য তদারকি ও জবাবদিহিতা বাড়াতে হবে। তবে আশার কথা হলো, অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতে সরকারের ব্যয় বাড়ছে।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু এনডিসি, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বাংলাদেশের রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. বর্দন জং রানা প্রমুখ। বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টস সেলের ফোকাল পারসন ডা. সুব্রত পাল ষষ্ঠ রাউন্ডের ফল জানান।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টসের মহাপরিচালক ড. মো. এনামুল হক।
এস এ
Copyright Banglar Kontho ©2024
Design and developed by Md Sajibul Alom Sajon