চিনির মূল্য বৃদ্ধি সঠিক সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, মূল্যবৃদ্ধি তখনই করা হয় যখন প্রয়োজন হয়। মূল্যায়ন করেই এটা করা হয়। যে দাম হওয়া উচিত বিভিন্ন হিসাব নিকাশ করেই এটা করে। সে হিসাব নিকাশ করেছে চিনির দাম বাড়ানো হয়েছে। এটা যদি এড্রেস না করা হয় তাহলে ফলাফল ভিন্ন হবে। বাজারে চিনি পাওয়াই যাবে না। এটা বিবেচনা করেই করে যেটা হওয়া উচিত সেটা করা হয়েছে। আবার যখন কমার প্রয়োজন তখন কমাবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) মতিঝিলে এমসিসিআই-এ একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
মিল থেকে চিনি বের করতে হলে ১৬-১৭দিন লেগে যায়। আর এর জন্য প্রতিদিন ২/৩ হাজার টাকা করেবাড়তি খরচ করতে হচ্ছে। এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এটা আমরা শুনেছি। আমরা চেষ্টা করছি এটা যেন না হয়।
সাংবাদিকরা বলেন, চিনিকলগুলো যখন উৎপাদন সীমিত করে ফেলছে তখন ব্যবসায়ীরা চিনির দাম ইচ্ছা মতো বাড়াচ্ছে।
এ কথার পিঠে টিপু মুনশি বলেন, এটা (আপনাদের) ভুল ধারণা। দেশে যে পরিমান চিনি উৎপাদন হয় তা মোট প্রয়োজনের ১ শতাংশ। চিনির দামের ক্ষেত্রে এটা কোনো প্রভাব ফেলতে পারে না। দেশে উৎপাদিত চিনির পরিমাণ ৫০ হাজার টন। আমাদের চিনির চাহিদা পূরণ করতে হয় আমদানি করে। গ্লোবাল মার্কেটে চিনির দাম বেড়েছে। যার জন্য সমস্যাটা হয়েছে। পাশাপাশি আমরা চেষ্টা করছি যাতে ভ্যাটটা একটু কমিয়ে দেওয়া হয়, যাতে দামে প্রভাব পড়ে।
বড় বড় শিল্প গ্রুপের মতো সহজে এলসি খুলতে পারে না ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান। কোনো কোনো ক্ষেত্রে জাহাজে পণ্য বন্দি করে রাখা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এমন অভিযোগের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাহাজে যে পণ্য ছিল সেগুলো গত পরশু থেকে খালাস শুরু হয়েছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংক চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছে যাতে তারা এলসি খুলে। ব্যাংক তাদের আস্থার ভিত্তিতে পণ্য আমদানিতে এলসি খুলে থাকে। সে আস্থার জায়গা থেকেই ব্যাংকগুলো বড় বড় প্রতিষ্ঠানের এলসি খুলছে। ছোট গ্রুপগুলোরও ব্যাংক টু গ্রাহকের আস্থার ভিত্তিতে এলসি খুলে থাকে। ব্যাংকগুলোতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রমজানের পণ্য যেন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে খুলে থাকে।
গ্যাসের দাম কমানোর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এ নিয়ে উদ্যোক্তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চায়। গ্যাসের দাম অ্যাডজাস্ট করার জন্য যখন নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তখন তারা বলেছিলেন যাতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবারহ হয়। কিন্তু যখন গ্যাসের দাম বাড়ানো হলো, তখন তারা বলছেন, দাম একটু বেশি হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে তারা কথা বলবেন বলে আমাদের বলেছে। আমরাও আমাদের মতো করে রিপোর্টটা করছি যেটা ভাল হয় সেটা করব। দেখব গ্যাসের দাম কমানো যায় কি না।
এস এ
Copyright Banglar Kontho ©2024
Design and developed by Md Sajibul Alom Sajon