বিকে ডেস্ক :: সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) ভয়াবহ যানজট রাজধানীতে। সকাল থেকেই এয়ারপোর্ট রোড, উত্তরা ও কালশীর রোডে গাড়ি বলতে গেলে নড়ছেই না।
এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী যাত্রীসহ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ফার্মগেটগামী যাত্রী আমানত আলী বলেন, আমি ফার্মগেট যাওয়ার জন্য কালশীর মোড়ে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করেছিলাম। দেখলাম কালশী মোড় হয়ে ইসিবি পর্যন্ত জ্যাম। কোনো গাড়ি সামনে যাচ্ছিল না।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দিন শেষ কর্ম দিবস হওয়ার রাস্তা একটু জ্যাম থাকে। কিন্তু আজ বেশি। বিশ্ব ইজতেমা শুরু হওয়ায় উত্তরা ও এয়ারপোর্ট রোডে যানজট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। রাস্তা পরিবর্তন করে বাসে যাচ্ছি ফার্মগেট।
বসুন্ধরাগামী যাত্রী মো. মামুন বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাস্তায় অনেক যানজট। এ কারণে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল যেতে চাইছে না। বাধ্য হয়ে উঠেছি গণপরিবহনে। এখন ভেঙে-ভেঙে যেতে হবে বসুন্ধরা।
তিনি আরও বলেন, কালশীর মোড়ে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে জ্যামে বসে আছি। একটুও বাস এগোচ্ছে না। আমার অফিস ডিউটি ছিল ৯টা থেকে। আজ দেরি হয়ে যাবে অফিস যেতে।
বনানীগামী যাত্রী বেসরকারি কর্মকর্তা এসএম মুজাহিদ বলেন, সকাল থেকে রাস্তায় যানজট। সকালে আমি মিরপুর থেকে বনানীর উদ্দেশ রওনা দিয়েছিলাম। আমার পৌঁছাতে সময় লেগেছে প্রায় দেড় ঘণ্টা।
মিরপুর ১৪ থেকে থেকে শেওড়া পর্যন্ত আসা আয়শা আক্তার তৃষ্ণা বলেন, সাড়ে ৮টায় বাসে রওনা দিয়ে ইসিবি পর্যন্ত আসি সোয়া ৯টায়। এরপর সোয়া এক ঘণ্টা হেঁটে অফিসে পৌঁছেছি। সড়কে গাড়ি নড়ছেই না।
মহাখালী থেকে যমুনা ফিউচার পার্ক পর্যন্ত অফিসে আসা সৈয়দ শিমুল বলেন, সকাল ৮টা ১০ মিনিটে মহাখালী ছিলাম। অফিসে যেতে সাড়ে ১০টা বেজেছে। ৯ কিলোমিটার আসতে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগল।
বিকল্প পরিবহনের কন্ডাক্টর মো. রহমান বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাত্র এক ট্রিপ মেরেছি। রাস্তায় জ্যাম আছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় আরও বাড়তে শুরু করেছে যানজট।
ডিএমপির ট্রাফিক উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) নাবিদ কামাল শৈবাল বলেন, সড়কে ভয়াবহ যানজট। প্রাথমিকভাবে দেখতে পাচ্ছি ইজতেমার কারণে যানজট। আর অতিরিক্ত যানবাহ তো আছেই। যানজট নিরসনে আমরা সকাল থেকে কাজ করছি।
এস এ
Copyright Banglar Kontho ©2022
Design and developed by Md Sajibul Alom Sajon