যুক্তরাষ্ট্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নিয়ে বেশকিছু দিন ধরেই নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি বাইডেন প্রশাসন সেখানে টিকটক বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখনো বিতর্ক চলছে।
এর মধ্যেই ফ্লোরিডার গভর্নর সোমবার (২৫ মার্চ) জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যটিতে নাবালকরা যেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করতে না পারে, সে বিষয়ে একটি বিলে সই করেছেন তিনি। আগামী ১ জুলাই থেকে আইনে পরিণত হবে বিলটি।
ফ্লোরিডার নতুন আইন অনুসারে, ১৩ বছর না হলে শিশুরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহার করতে পারবে না। ১৪ এবং ১৫ বছরের বালক-বালিকারা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে কিন্তু তার জন্য বাবা-মায়ের অনুমতি নিতে হবে। ফ্লোরিডায় অনেক দিন ধরেই এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে।
রাজ্যের রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন আইনসভা গত ফেব্রুয়ারিতে একটি বিল পাশ করেছিল, যা ১৬ বছরের কম বয়সি শিশুদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করে। কিন্তু সেই প্রস্তাবে ভেটো দেন ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস। তার দাবি ছিল ঐ বিলে পিতামাতার অধিকার সীমিত করা হয়েছিল। পরে বিলটি সংশোধন করে বাবা-মায়ের অনুমতি সাপেক্ষে তুলনামূলক বয়স্ক শিশুদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়।
বিল অনুমোদনের পর এক বিবৃতিতে ডিস্যান্টিস বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়া বিভিন্নভাবে শিশুদের ক্ষতি করে। নতুন আইন অভিভাবকদের জন্য সন্তানদের সুরক্ষায় বাড়তি ক্ষমতা দেবে। আইনে নির্দিষ্ট করে কোনো সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার নাম উল্লেখ করা হয়নি।
তবে ফ্লোরিডার নতুন আইনটির বিরোধিতা করেছে ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামের মূল কোম্পানি মেটা। তাদের দাবি, এটি পিতামাতার বিবেচনাকে সীমিত করবে এবং ডেটা গোপনীয়তার উদ্বেগ বাড়াবে। কারণ বয়স-যাচাইয়ের জন্য ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হবে।
এই বিলটি নিয়ে বিতর্কের সময় মূলত দুটি বিষয় সামনে এসেছিল। একদিকে শিশু-সুরক্ষা, অন্যদিকে বাকস্বাধীনতা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের অধিকার এভাবে ছিনিয়ে নেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত বলা হয়েছে, শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই সেটিকেই সবার আগে গুরুত্ব দিতে হবে।
Copyright Banglar Kontho ©2024
Design and developed by Md Sajibul Alom Sajon