আমেরিকার ইউনিভার্সিটিতে বাংলাদেশী শিক্ষক—৭৩

আমেরিকার বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি ও কলেজে বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত বিপুল সংখ্যক নারী ও পুরুষ শিক্ষকতার সাথে জড়িত। তাদের অনেকেই লেকচারার কিংবা এ্যাসিস্ট্যান্ট বা এসোসিয়েট প্রফেসর কিংবা ফুল প্রফেসর। কেউ কেউ প্রফেসর ইমেরিটাসও। আরো আছেন গবেষক। তাদের প্রায় সকলেরই রয়েছে গবেষণা গ্রন্থ কিংবা গবেষণা নিবন্ধ। বই প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির নিজস্ব প্রকাশনা থেকে। তাদের নিবন্ধ প্রকাশিত হয় নিজ নিজ ইউনিভার্সিটিসহ আন্তর্জাতিক জার্নালে। সাপ্তাহিক বাঙালী এই সিরিজে কেবল বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি ও কলেজে যারা শিক্ষকতা ও গবেষণা করেন তাদের সংক্ষিপ্ত তথ্য তুলে ধরছেঃ

প্রফেসর মাশরুর চৌধুরী

সাউথ ক্যারোলাইনার ক্লেমসন ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের ইউজিন ডগলাস মেইস চেয়ার অব ট্রান্সপোর্টেশন, অটোমোটিভ ইঞ্জিনিয়ারিং ও কম্পু্যটার সাইন্সের প্রফেসর মাশরুর চৌধুরী। তিনি ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংএ বি.এস., ১৯৯১ সালে মরগ্যান স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ট্রান্সপোর্টেশন সিস্টেমে এম.এস. এবং ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়া থেকে ১৯৯৫ সালে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংএ পিএইচডি করেন।

প্রফেসর মিয়ান বজলে হোসেন

মেরিল্যান্ডের মরগ্যান স্টেট ইউনিভার্সিটির স্কুল অব কম্যুনিটি হেলথ পলিসির বায়োস্ট্যাটিস্টিক্সের প্রফেসর মিয়ান বজলে হোসেন। তিনি চিটাগাং ইউনিভার্সিটি থেকে ১৯৭৮ সালে স্ট্যাটিস্টিক্সে বিএসসি, ১৯৮০ সালে এমএসসি করেন। ১৯৮৮ সালে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান থেকে পপুলেশন প্লানিংএ এমএস এবং ১৯৯৮ সালে জন্স হপকিন্স ইউনিভািার্সটি থেকে পপুলেশন ডাইনামিক্সে মাস্টার্স অব হেলথ সাইন্স করেন। ২০০১ সালে ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব সাদাম্পটন থেকে সোশাল স্ট্যাটিস্টিক্সে পিএইচডি করেন।

প্রফেসর ফরিদুল ইসলাম

মেরিল্যান্ডের মরগ্যান স্টেট ইউনিভার্সিটির ইকোনমিক্সের প্রফেসর ড. ফরিদুল ইসলাম। তিনি ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে ইকোনমিক্সে বিএস, লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স থেকে এমএস করেন। পরে ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়ের আরবানা—শ্যাম্পেইন থেকে ইকোনমিক্সে পিএইচডি করেন।

তিনি ইলিনয় ওয়েসলিয়ান ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটিং এ্যাসিস্ট্যান্ট, জাপানের কানসাই গাইফাই ইউনিভার্সিটিতে প্রফেসর, ইউটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটিতে প্রফেসর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।