আন্তর্জাতিক ডেস্ক :রাশিয়ার নৌবহরে যুক্ত হলো নতুন হাইপারসনিক জারকন ক্রুজ মিসাইল। বিধ্বংসী এ ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের চেয়ে ৯ গুণ দ্রুত গতিতে আঘাত হানতে সক্ষম বলে দাবি করেছে মস্কো। রাশিয়ার নিরাপত্তার স্বার্থে এ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
২০২২ সালের আগস্টে রুশ নৌবহরে হাইপারসনিক জারকন ক্রুজ মিসাইল সংযুক্তির ঘোষণা দেন পুতিন। এরপরই প্রশ্ন ওঠে এর সক্ষমতা নিয়ে। এটি থ্রিএমটুটু জারকন নামে পরিচিত।
হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো শব্দের চেয়েও কয়েকগুণ দ্রুতগতিতে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। জারকন ক্রুজ মিসাইলের ক্ষেত্রে তা শব্দের চেয়ে ৯ গুণ বেশি।
এ ছাড়া এক হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সক্ষমতা রয়েছে এই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের। এর আঘাতে লক্ষ্যবস্তু পুরোপুরি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হবে বলে দাবি মস্কোর। বিশ্বের আর কোনো দেশের এই ধরনের বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নেই বলে দাবি করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
তিনি বলেন, আমি আগেই বলেছি, পৃথিবীর কোনো দেশেই এর কোনো সমকক্ষ নেই। আমি নিশ্চিত যে এ ধরনের শক্তিশালী অস্ত্র রাশিয়াকে সম্ভাব্য বহিরাগত হুমকি থেকে সুরক্ষা দেবে এবং রাশিয়ার জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় অবদান রাখবে।
এক বিবৃতিতে আটলান্টিক ও ভারত মহাসাগরে এ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের কথা নিশ্চিত করেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেরগেই শোইগু।
২০১৯ সালে এ ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয় বিশ্বের। আর পরের বছর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে নৌযান থেকে প্রথম পরীক্ষা চালানো হয় ক্ষেপণাস্ত্রটির।
Copyright Banglar Kontho ©2024
Design and developed by Md Sajibul Alom Sajon