দেশে বিভিন্ন সংকটের মধ্যেও বিদ্যুতের পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়াতে যাচ্ছে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
সোমবার দুপুরে নতুন দামের ঘোষণা আসবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এর আগে গত ১২ জানুয়ারি বিদ্যুতের পাইকারি দাম ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব দেয় পিডিবি। ১৮ মে তাদের প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি হয়। পরে ১৩ অক্টোবর এক ঘোষণায় বিইআরসি জানায়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ও যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারায় পিডিবির আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। তবে সে সময় দাম না বাড়লেও এবার দাম বাড়ানো হবে বলে জানা গেছে।
রবিবার বিইআরসির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) বিদ্যুতের পাইকারি (বাল্ক) মূল্যহার পুনর্নির্ধারণ বিষয়ে ১৩ অক্টোবরের আদেশ পুনর্বিবেচনা সংক্রান্ত কমিশনের ঘোষণা সোমবার দুপুর ১২টায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে।
গত ১২ জানুয়ারি বিদ্যুতের পাইকারি দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দেয় পিডিবি। প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৬৬ শতাংশ দাম বাড়ানোর আবেদন করে। ১৮ মে তাদের প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি হয়। শুনানিতে বিইআরসির কারিগরি কমিটি ৫৮ শতাংশ দাম বৃদ্ধির সুপারিশ করে। এর প্রায় ৫ মাস পর গত ১৩ অক্টোবর এক ঘোষণায় বিইআরসি জানায়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ও যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারায় পিডিবির আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
পরে গত ২ নভেম্বর পিডিবি ও বিদ্যুৎ বিভাগ এবং ৬ নভেম্বর বিইআরসির সাথে বৈঠক করে ঢাকা সফরকারী আইএমএফ প্রতিনিধি দল। এ সময় বিদ্যুতের দাম, ভর্তুকি ও পিডিবির লোকসান নিয়ে আলোচনা হয়।
এরপরই গত সপ্তাহে কমিশনের আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করে পিডিবি। সংস্থাটির আবেদন বিবেচনায় নিয়ে নতুন আদেশ দিতে যাচ্ছে কমিশন।
এ বিষয়ে বিইআরসি সদস্য (বিদ্যুৎ) বজলুর রহমান বলেন, ‘যেসব ঘাটতির কারণে পিডিবির প্রস্তাব নাকচ হয়েছিল, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা ও তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করেছে পিডিবি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। তবে পিডিবি যতটুকু চেয়েছে তত বাড়বে না।’
বিইআরসি সর্বশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিদ্যুতের পাইকারি দর ইউনিটপ্রতি ৫ টাকা ১৭ পয়সা নির্ধারণ করে। বর্তমানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে পিডিবির ১৪-১৫ টাকা খরচ হচ্ছে। তাই দিন দিন লোকসান বাড়ছে সংস্থাটির।
পিডিবি জানিয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে তাদের লোকসান ছিল ১১ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায় লোকসান। চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) লোকসানের পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করছে সংস্থাটি।
Copyright Banglar Kontho ©2024
Design and developed by Md Sajibul Alom Sajon