আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োল বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া একটি আলোচনায় নিযুক্ত রয়েছে যা সোলকে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক বাহিনীর অপারেশনে বড় ভূমিকা প্রদান করতে পারে।
সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার চোসুন ইলবো সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ইউন বলেছেন, আলোচনার বিষয় ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু বাহিনীর সাথে যৌথ পরিকল্পনা এবং অনুশীলন। তিনি বলেন এটি এমন একটি ব্যবস্থা যা ‘পারমাণবিক অংশীদারের’ মতো একই প্রভাব ফেলবে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এ ধরনের কোনো আলোচনার বিষয় নিশ্চিত করেননি। তবে অতীতে তারা দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে পারমাণবিক অংশীদারিত্বের ধারণা বাতিল করেছে। মন্তব্য জানতে চাইলে দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ভয়েস অব আমেরিকাকে পেন্টাগনের কাছে পাঠিয়েছিল। তারা তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯০ -এর দশকের গোড়ার দিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন করেনি। সে সময় তারা সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে একটি নিরস্ত্রীকরণ চুক্তির অংশ হিসেবে উপদ্বীপ থেকে কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র টেনে নিয়ে গিয়েছিল। এর বিনিময়ে দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের ‘পারমাণবিক ছাতা’-র অধীনে সুরক্ষিত। এর অধীনে ওয়াশিংটন তাদের মিত্রদেরকে রক্ষা করার জন্য পারমাণবিক অস্ত্রসহ তাদের সমস্ত ক্ষমতা ব্যবহার করার প্রতিশ্রুতি দেয়।
প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান বৈরিতা এবং পারমাণবিক অস্ত্রের মুখোমুখি দক্ষিণ কোরিয়ার কিছু বিশিষ্ট নাগরিক দেশটিকে তাদের নিজস্ব পারমাণবিক প্রতিরোধক অর্জনের আহ্বান জানিয়েছে।
তবে অনেক বিশ্লেষক সন্দিহান যে, যুক্তরাষ্ট্র এই ধরনের একটি ব্যবস্থায় প্রবেশ করবে কি না। তারা উল্লেখ করে, এটি ওয়াশিংটনের বৈশ্বিক পরমাণু অস্ত্র অপসারণের লক্ষ্যের বিরুদ্ধে যাবে। পাশাপাশি কোরীয় উপদ্বীপের সম্পূর্ণ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের জন্য দেশটির সমর্থনের বিরুদ্ধে যাবে।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা
Copyright Banglar Kontho ©2022
Design and developed by Md Sajibul Alom Sajon