যুক্তরাজ্য ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠালে তা পুড়িয়ে দেওয়া হবে: রাশিয়া

আন্তর্জাতিক : যুক্তরাজ্য ইউক্রেনে যে ট্যাঙ্কগুলো পাঠানোর পরিকল্পনা করছে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে সহায়তায় দেশটিতে ট্যাংক পাঠানো নিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতির বিষয়ে ক্রেমলিন গতকাল সোমবার এ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

পশ্চিমা বিশ্বকে সতর্ক করে ক্রেমলিন মুখপাত্র বলেন, ইউক্রেনকে নতুন অস্ত্র সরবরাহ করা হলেও তা যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন আনবে না। এদিকে, পশ্চিমা বিশ্বের কাছে দ্রুত অস্ত্র সরবরাহের দাবি জানিয়েছে ইউক্রেন।

প্রায় ১১ মাস ধরে চলছে ইউক্রেনে রুশ অভিযান। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ।

শনিবার ইউক্রেনে ১৪টি চ্যালেঞ্জার-টু ট্যাংক এবং ভারী অস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা দেয় যুক্তরাজ্য। এর প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়া জানায়, যুক্তরাজ্য ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠালে তা ইউক্রেনেই পুড়বে।

পশ্চিমা বিশ্বকে সতর্ক করে ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ইউক্রেনে নতুন করে উন্নত অস্ত্র সরবরাহ, যুদ্ধের ফলে কোনও পরিবর্তন আনবে না। রুশ বিরোধী লক্ষ্য অর্জনের হাতিয়ার হিসেবে পশ্চিমা বিশ্ব ইউক্রেনকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ পেসকভের।

এদিকে, রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান হামলা মোকাবিলায় পশ্চিমা বিশ্বকে দ্রুত অস্ত্র সরবরাহের দাবি জানিয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘নতুন সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করায় যুক্তরাজ্যকে ধন্যবাদ। যুদ্ধ জয়ের জন্য রাশিয়া নতুন কৌশল নিয়েছে। এ অবস্থায় আমাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে আরও অস্ত্র সহায়তা প্রয়োজন।’

দিনিপ্রো শহরে আবাসিক ভবনে রোববারের হামলায় নিহত বেড়ে ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। যদিও এ হামলার দায় অস্বীকার করেছে মস্কো।

এদিকে, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় ৭ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, বেশিরভাগ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে ভারী কামান, রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলায়। তাই, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে, সোমবার থেকে যৌথ মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া-বেলারুশ। এতে শঙ্কিত ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলো। তাদের শঙ্কা, বেলারুশকে ব্যবহার করে ইউক্রেনে নতুন করে হামলা জোরদার করবে মস্কো। রাশিয়া-বেলারুশের মহড়া চলবে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ব্যবহার করা হবে বেলারুশের সব সামরিক বিমানঘাঁটি।