৩১ দিন পর অক্ষত অবস্থায় মুক্তি পেলেন সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা বাংলাদেশি ২৩ নাবিক ও জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। গতকাল শনিবার বিমান থেকে ফেলা মুক্তিপণের ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ জলদস্যুদের হাতে পৌঁছানোর আট ঘণ্টা পর নাবিকসহ জাহাজটিকে মুক্ত করা হয়।
সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে রবিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জিম্মি জাহাজের মালিক পক্ষ কেএসআরমের গ্রুপের প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, আমরা জানতাম নাবিকরা ভালো আছেন। তারপরও সর্বশেষ গত দুদিন আগে আমাদের শেষ রিকোয়ারমেন্ট ছিল নাবিকরা কেমন আছেন সেটা জানা? এ জন্য প্রত্যেক নাবিকের স্বতন্ত্র ভিডিও আমরা নিয়েছি। সেটি তারা আমাকে পাঠিয়েছে। এরপর আমরা ওদের প্রক্রিয়া চূড়ান্তভাবে শুরু হয়। সবকিছু আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে হয়েছে। কোনো ক্ষেত্রে আমরা আমেরিকার নিয়ম মেনেছি, কোন ক্ষেত্রে ইউকে আবার কোনো ক্ষেত্রে সোমালিয়ার নিয়ম মেনেছি।
তিনি বলেন, সফল আলোচনা ও সমঝোতা শেষে দস্যুরা আমাদের জাহাজ থেকে নেমে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। শনিবার রাত ৩টার দিকে আমার কাছে জাহাজের ক্যাপ্টেনের পক্ষ থেকে প্রথম মেসেজ আসে। তখন দস্যুরা মোট ৬৫ জন ছিল। তারা মোট ৯টি বোটে করে জাহাজ থেকে নেমে চলে যায়। এরপর জাহাজের স্পিকারে ঘোষণা দেওয়া হয়। তখন জাহাজের ভেতরে কান্নার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। আগামী রোববার (২০ এপ্রিল) জাহাজ দুবাই বন্দরে পৌঁছাবে। আমরা আগামীকাল (সোমবার) নাবিকদের সঙ্গে কথা বলব। তারা জাহাজে ফিরবে নাকি বিমানে করে দেশে ফিরবে, সে বিষয়ে তাদের মতামত নেব। তাদের মতামত পাওয়ার পরই আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।
তবে কত টাকা মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছে সেটির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি মেহেরুল করিম। তিনি বলেন, এ বিষয়ে কথা না বলতে চুক্তি হয়েছে।
Copyright Banglar Kontho ©2024
Design and developed by Md Sajibul Alom Sajon