জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে (ইউএনএসসি) মিয়ানমারের পক্ষে না দাড়াঁনোয় চীনকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
সেই সঙ্গে নতুন বছর ২০২৩ সালে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর আশা করছে ঢাকা।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইকে লেখা এক চিঠিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
চিঠিতে ড. মোমেন লেখেন, গত ২১ ডিসেম্বরে সকল ধরনের সহিংসতা রোধে ইউএনএসসি প্রথমবারের মত মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে রেজুলুশন গ্রহণ করা হয়। সেই সঙ্গে ২৬৬৯ নং রেজুলুশনে রাখাইন সংকটের মূল কারণ এবং বাংলাদেশে সাময়িকভাবে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, টেকসই প্রত্যাবাসনে প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরিরে জোর দেওয়া হয়।
চিঠিতে আরও লেখেন, মিয়ানমার নিয়ে আনা রেজুলুশনে ইউএনএসসির কোনো সদস্য রাষ্ট্র আপত্তি তোলেনি, বিষয়টিতে বাংলাদেশ খুশি। যদিও চীনসহ আরও তিনটি সদস্য রাষ্ট্র এ বিষয়ে ভোট থেকে অনুপুস্থিত থেকেছে। সেই সঙ্গে এ রেজুলুশন তৈরিতে শেষ পর্যন্ত এতে যুক্ত থেকেছে। এতে করে প্রতিবেশি রাষ্ট্র মিয়ানমারে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিয়ে বাংলাদেশ আশাবাদী।
আরও পড়ুন: অটিস্টিক শিশুদের তৈরি শাড়িতে হাস্যোজ্জ্বল সায়মা ওয়াজেদ
রোহিঙ্গা সংকটের কারণে মিয়ানমারের আভ্যন্তরীন সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতা এবং এ অঞ্চল ও তার বাইরের নিরাপত্তায় নেতিবাচক প্রভাব বুঝতে পেড়ে ভোট থেকে নিজেকে অনুপুস্থিত রাখার সিদ্ধান্তের কারণে চীনের সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. এ কে আবদুল মোমেন লেখেন, গত পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশ মানবিক সহায়তাসহ ১০ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে আসছে। বহুপক্ষীয় এবং দ্বিপক্ষীয় ভাবে বহু চেষ্টার পরও এখন পর্যন্ত এদের প্রত্যাবাসনে কোনো অগ্রগতি হয়নি। এমনকি প্রত্যাবাসনের জন্য চীনের নেতৃত্বে তৃপক্ষীয়ভাবেও কাজ চলছে। মিয়ানমারে চলমান সহিংসতা প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনাকে আরও কঠিন করে দিচ্ছে। সংকটকে আমলে না নেওয়া হলে এর কারণে এ অঞ্চল ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
Copyright Banglar Kontho ©2022
Design and developed by Md Sajibul Alom Sajon