আন্তর্জাতিক : রাজপরিবারের অজানা তথ্যবহুল প্রিন্স হ্যারির আত্মজীবনীমূলক বই স্পেয়ার। অনেক তথ্যে ঠাঁসা হলেও বইয়ে অনেক কিছুই বাদ দিয়েছেন হ্যারি। এমন কিছু কথা, যা প্রকাশ হলে প্রিন্স উইলিয়াম ও রাজা তৃতীয় চার্লস তাকে কখনোই ক্ষমা করবেন না। তবে হ্যারি নিজেও চাননা এসব কথা প্রকাশিত হোক। দ্য টেলিগ্রাফকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন প্রিন্স হ্যারি।
প্রিন্স হ্যারির আত্মজীবনী স্পেয়ার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয় ১০ জানুয়ারি। তবে এর আগেই বইয়ের চুম্বক অংশ ফাঁস হওয়ায় প্রকাশের আগেই ঝড় তোলে স্পেয়ার। যদিও এবিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি রাজপরিবার কিংবা রাজপ্রাসাদ।
বই প্রকাশের পর দ্য টেলিগ্রাফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রিন্স হ্যারি বলেন, বইয়ে অনেক কিছুই তিনি বলেননি। রাজপরিবারের এমন অনেক কথা তিনি জানেন যা বললে তার বাবা ও ভাই তাকে কখনোই ক্ষমা করবেন না। যদিও তিনি নিজেও চাননা এসব কথা জনসম্মুখে আসুক। যা কিছু জানা আছে তা লিখলে দুটি বই ছাপাতে হবে বলে মন্তব্য করেন হ্যারি।
দ্য টেলিগ্রাফের সাংবাদিক ব্রিয়নি গর্ডনকে হ্যারি বলেন, পরিবার ও রাজতন্ত্রকে ভেঙ্গে দেওয়া বা এর ক্ষতি করার উদ্দেশ্য তার নেই বা কখনো ছিলও না। বরং পরিবারকে নিজেদের ফাঁদ থেকে বাঁচাতে চেয়েছেন।
প্রথম ড্রাফট ছিল ৮০০ পৃষ্ঠার। বইয়ের খাতিরে ছায়া লেখক জেপি মোরিংগারকে অনেক তথ্য দিয়েছেন হ্যারি। তবে ওসব কোনোভাবেই বইয়ে ছাপানো যাবে না তা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মোরিংগারকে। কাটছাঁট করে শেষমেশ বইটি ৪০০ পৃষ্ঠায় এসে ঠেকে।
পরিবারের সদস্যদের বাদ দিয়ে এই বই লেখা অসম্ভব ছিল। তার জীবনের সাথে পরিবারের সদস্য বিশেষ করে ভাই প্রিন্স উইলিয়াম ও বাবা কিং চার্লস ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বইয়ের চরিত্রদের বুঝতে তাদের ব্যক্তিত্ব বোঝা গুরুত্বপূর্ণ বলেন হ্যারি।
সাক্ষাৎকারে হ্যারি বলেন সমালোচনা ও জবাবদিহিতার ওপরে কেউই নয়, এমনকি রাজপরিবারও নয়। মেগানের সাথে হওয়া অন্যায় আচরণের জন্য রাজপরিবারের হয়ে ক্ষমাও চেয়েছেন প্রিন্স হ্যারি।
হ্যারি জানান, এখনো বাবা ও ভাইয়ের সাথে আলাপ করতে চান তিনি। যে আলোচনা হবে সকল দোষারোপের ঊর্ধ্বে।
Copyright Banglar Kontho ©2022
Design and developed by Md Sajibul Alom Sajon