অনলাইন ডেস্ক : র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, মানবাধিকার ইস্যুতে পশ্চিমা বিশ্বের চাপ। এছাড়া, বছর জুড়েই আলোচনায় ছিলো বিদেশি কূটনীতিকদের তৎপরতা। প্রকাশ্যে নির্বাচন নিয়ে তাদের মন্তব্যে নারাজ হয় সরকার। শেষ দিকে সমালোচনা হয়, শাহীনবাগে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ঝটিকা সফর নিয়ে। শিষ্টাচার লঙ্ঘন করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিতে বাধ্য হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা আসে গত বছরের শেষ দিকে। ২০২২ সাল জুড়ে যার রেশ টানতে হয় সরকারকে।
চলেছে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর কূটনীতিক তৎপরতা, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ সরকারের আইনি লড়াই। নিষেধাজ্ঞা মাথায় নিয়ে বেনজির আহমেদ যুক্তরাষ্ট্র সফর করলেও মীমাংসা হয়নি এ ইস্যুর।
মানবাধিকার ইস্যুতে ঢাকা সফর করেন জাতিসংঘের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। সংবাদ সম্মেলনে গুম প্রসঙ্গে টেনে সরকারকে নানামুখি পরামর্শও দেয়।কিন্তু বছর শেষে জানা যায় ত্রুটিপূর্ণ ছিলো তাদের গুমের তালিকা।
এদিকে, বছরজুড়ে কূটনীতিকদের আলোচনায় ছিল বাংলাদেশের নির্বাচন। গত সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির মন্তব্যে ওঠে সমালোচনার ঝড়।
এছাড়া, বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচি এবং নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের বক্তব্যে বিরক্তি জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কূটনীতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়।
সব ছাপিয়ে যায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের শাহীনবাগে যাওয়া। নিরাপত্তার শঙ্কা জানায় যুক্তরাষ্ট্র, কিন্তু রাশিয়া বলছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ। নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ সরকারকে তাগিদ দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
সারা বছর আলোচনায় ছিল রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন। কিন্তু বছর শেষে পুনর্বাসনের সুখবর দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে বাংলাদেশ থেকে নিয়ে গেছে ৬০ রোহিঙ্গাকে।
Copyright Banglar Kontho ©2022
Design and developed by Md Sajibul Alom Sajon