আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আগামী ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তেল রফতানিতে কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। মূলত নিজ দেশের চাহিদা পূরণ করতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।আল জাজিরার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, বর্তমানে পাম তেল উৎপাদনকারীরা ইন্দোনেশিয়ার অভ্যন্তরীণ বাজারে যে পরিমাণ তেল বিক্রি করে থাকেন তার ৮ গুণ রফতানি করতে পারেন। কিন্তু নতুন নিয়ম অনুযায়ী এটি ৬ গুণ করা হবে।
ইন্দোনেশিয়ার মেরিটাইম অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সেপ্তিয়ান হারিও সেতিও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘অভ্যন্তরীণ সরবরাহ নিশ্চিতে বিশেষ করে বছরের প্রথম ৪ মাসের সরবরাহ ঠিক রাখতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’ সেতিও আরও জানান, অভ্যন্তরীণ বাজার পরিস্থিতি, ভোজ্যতেলের সরবরাহ ও দাম বিবেচনা করে পর্যায়ক্রমে রফতানির পরিমাণ বৃদ্ধি করা হবে।
এর আগে এ বছরের শুরুতে তেল রফতানিতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ইন্দোনেশিয়া। দেশটির বাজারে ভোজ্যতেলের দাম মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়াই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দেশটি। সে সময় এর প্রভাব পড়ে আন্তর্জাতিক বাজারে।
আরও পড়ুন: বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনলেই ভর্তুকি দেবে ইন্দোনেশিয়া
বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার সরকার পাম তেল রফতানিকারকদের ওপর কথিত ডমিস্টিক মার্কেট অবলিগেশন (ডিএমও) আরোপ করে রেখেছে। এর আওতায় তেল উৎপাদক ও রফতানিকারকদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ তেল অভ্যন্তরীণ বাজারে বিক্রি করতে হয়। বাকি তেল রফতানি করতে পারে তারা।
গত সপ্তাহে সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল ইন্দোনেশিয়ান পাম ওয়েল অ্যাসোসিয়েশেন (গ্যাপকি)। ওই বৈঠকে গ্যাপকির সাধারণ সম্পাদক এডি মারতোনো জানিয়েছিলেন, সরকারের বায়োডিজেল প্রোগ্রাম এবং বছরের প্রথম চার মাসে উৎপাদন কম হওয়ার শঙ্কা থাকায়, ভোজ্যতেলের সরবরাহ নিয়ে চিন্তা থেকেই যাবে।
আরও পড়ুন: পাম তেল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা, ক্রেতাদের চাপের মুখে ইন্দোনেশিয়া
বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়া। আগামী মার্চে পবিত্র রমজান মাস পালন করবে দেশটি। সে সময় অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের পাশাপাশি তেলের চাহিদা বাড়বে।
Copyright Banglar Kontho ©2024
Design and developed by Md Sajibul Alom Sajon