আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দারদ্রিতার কারণে বিড়ির কারখানায় কাজ করতে হয়েছে। কাজ করতে হয়েছে মানুষের বাড়ির দারোয়ান হিসেবেও। তবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করার জন্য ঝরে পড়েন স্কুল থেকে। এ ঘটনা ভারতের কেরালা রাজ্যের সুরেন্দ্রন কে প্যাটেলের। ৫১ বছর বয়সী এই ভারতীয় সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস জেলায় বিচারক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। এরপরই তিনি তার জীবনের দুর্বিসহ জীবনের কথা ব্যক্ত করেন।
এনডিটিভিকে প্যাটেল বলেন, আমি তখন দশম শ্রেণির ছাত্র। দারিদ্রতার কারণে পরিবার আমার পড়াশুনার খরচ চালাতে পারছিল না। এজন্য আমাকে বিড়ির কারখানার কাজ করতে হবে। এভাবে এক বছর কাজ করার পর আমি আমার জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করি।
পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তিনি দারোয়ান এবং স্থানীয় হোটেলে কাজ করতেন। আর এ থেকে যা আয় হতো তা দিয়ে পরিবার চালানো এবং নিজের পড়াশুনার খরচ চালানো হত।
দীর্ঘ সংগ্রাম শেষে আইন বিষয়ে পড়া শেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাই। যুক্তরাষ্ট্রে আসাটা আমার জন্য সহজ ছিল না।
সুরেন্দ্রন বলেন, যখন আমি টেক্সাসে বিচারকের পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলাম, তখন আমার উচ্চারণ নিয়ে মন্তব্য করা হয়েছিল এবং আমার বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচার চালানো হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত আমি সফল হয়েছি।
Copyright Banglar Kontho ©2022
Design and developed by Md Sajibul Alom Sajon