আন্তর্জাতিক ডেস্ক : : তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের সঙ্গে টানাপোড়েনের মধ্যেই তাইপের কাছে প্রায় ২০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক টুইটে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। চুক্তির আওতায় ভলকানো মাইন সিস্টিম এম-ওয়ানথ্রিসিক্স পাবে তাইওয়ান।
তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে ক্রমেই চড়ছে উত্তেজনার পারদ। তাইওয়ানকে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি চীনের হামলা থেকে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটিকে রক্ষার ঘোষণা দিয়ে বেইজিং এর চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছে ওয়াশিংটন।
আগস্টে মার্কিন হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এনিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি হুমকিও দেয় বেইজিং।
চলমান উত্তেজনার মধ্যেই তাইপের কাছে প্রায় ২০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই চুক্তির আওতায় ভলকানো মাইন সিস্টিম এম-ওয়ানথ্রিসিক্স দেয়া হবে।
১৯৮০ সালে প্রথম এম-ওয়ানথ্রিসিক্স ভলকানো অস্ত্র তৈরি করে মার্কিন সেনাবাহিনী। এই অ্যান্টি ট্যাংঙ্ক অস্ত্র বৃহৎ এলাকাজুড়ে স্থলমাইন ধ্বংসে সহায়তা করে।
এক মাসের মধ্যে চুক্তিটি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। শত্রুর হুমকি মোকাবিলায় দ্রুত প্রতিক্রিয়া এবং অস্ত্রের অসমতা কমাতে সহায়তা করবে বলেও জানায় মন্ত্রণালয়। এ সময় তাইপে অভিযোগ করে, তাইওয়ানের চারপাশে চীনের ঘন ঘন সামরিক অভিযান গুরুতর হুমকি তৈরি করছে।
এর আগে মঙ্গলবার চীনা হুমকির কথা উল্লেখ করে নাগরিকদের বাধ্যতামূলক সেনাবাহিনীতে যোগদানের সময় চার মাস থেকে বাড়িয়ে এক বছর করে তাইপে। এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে বেইজিং বলছে, বেসামরিক নাগরিকদের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে তাইওয়ান।
সবশেষ গত সপ্তাহে তাইপের সীমারেখা অতিক্রম করে ৭১ যুদ্ধবিমান ও ড্রোনের মহড়া চালায় চীন। যুক্তরাষ্ট্র-তাইওয়ানের সম্পর্ক বৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ায় এই কার্যক্রমকে স্ট্রাইক ড্রিল হিসেবে আখ্যা দেয় বেইজিং।
এক-চীন নীতির আওতায় তাইওয়ানকে চীনা অঞ্চল বলে মনে করে বেইজিং। অন্যদিকে, নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করে তাইপে।
Copyright Banglar Kontho ©2022
Design and developed by Md Sajibul Alom Sajon