অনলাইন ডেস্ক : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পেরিয়েছে পর ৭৭ বছর। এতদিন মানুষ জাপানকে শান্তিকামী বলেই জেনে এসেছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে জাপান সামরিকায়ন প্রক্রিয়া দ্রুততর করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সামরিক খাতে ব্যয় বৃদ্ধি, নতুন জাতীয় নিরাপত্তা-প্রতিরক্ষা কৌশল জাপানের সেই চেষ্টারই প্রমাণ। বলাই বাহুল্য, জাপানের এই চেষ্টা এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ভূরাজনীতিতে নতুন হিসেব-নিকেশের জন্ম দেবে।
অনেক আগেই রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, স্নায়ুযুদ্ধের পর জাপান অবশ্যই তার ‘স্বাভাবিক’ অবস্থান অর্থাৎ বৈশ্বিক পরাশক্তিগুলোর মাঝে ঠাঁই ফিরে পেতে সচেষ্ট হবে। ১৯৯৩ সালে এক নিবন্ধে মার্কিন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী কেনেথ ওয়াল্টজ দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছিলেন যে, ‘জাপানের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা এবং রাষ্ট্র হিসেবে এর অধিকাংশ আচরণই এই প্রস্তাবকে সমর্থন করে যে, দেশটি আবারও পরাশক্তিগুলোর কাতারে উঠে যাবে।’
২০২২ সালের আগস্টে কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিক ‘জাপান অ্যাজ আ গ্লোবাল মিলিটারি পাওয়ার’ বইয়ের লেখক ক্রিস্টোফার হিউজেস বলেছেন, ‘জাপান একটি প্রভাবশালী সামরিক শক্তি হয়ে ওঠার সব লক্ষণ এবং নিদর্শনই দেখাচ্ছে এখন। কেবল তাই নয়, দেশটি আঞ্চলিক পর্যায়ে নয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সামরিক শক্তি হয়ে উঠবে।’
কিন্তু জাপান কেন সামরিকভাবে বলীয়ান হয়ে ওঠতে উঠে পড়ে লেগেছে? এর সম্ভাব্য কারণ দুটো হতে পারে। একটির বিষয়ে কেনেথ ওয়াল্টজ এরইমধ্যে বলে ফেলেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগ পর্যন্ত জাপান একটি আগ্রাসী সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ছিল। ফলে দেশটির জাতীয় মানসিকতা থেকে বিষয়টি চিরতরে মুছে যাবে এমনটা ভাবাটাই বোধহয় অনুচিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নানা কারণে বিপর্যস্ত জাপান সমরশক্তিকে সেভাবে ফুটিয়ে তোলার দিকে নজর দিতে পারেনি। বরং আর্থিকভাবে নিজেদের শক্তিশালী করে গড়ে তোলার দিকে মনোযোগী হয়েছে। জাপানের সামরিকায়নের দ্বিতীয় আরেকটি কারণ হতে পারে চির প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের উত্থান এবং ঘরের পাশের উত্তর কোরিয়ার নিত্য ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা। জাপানের সর্বশেষ জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলপত্রেও এই দুই বিষয়কেই সামনে রাখা হয়েছে।
জাপান বলছে, তারা ভবিষ্যতের সম্ভাব্য ‘প্রকৃত আক্রমণ’ থেকে ‘নিজেদের রক্ষা করতে’ ‘প্রতি-আক্রমণ’ বা কাউন্টারস্ট্রাইকের সক্ষমতা অর্জন করতে চায়। এটি বোধহয় সরাসরি না উল্লেখ করলেও হয় যে, জাপান প্রকৃতপক্ষে কোন কোন দিক থেকে ভবিষ্যতে ‘প্রকৃত আক্রমণ’ আশঙ্কা করছে। জাপানের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলে চীন-উত্তর কোরিয়াকে সরাসির ঝুঁকি বা হুমকি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে এ বিষয়ে আর সন্দেহ থাকে না যে, এই দুই দেশই জাপানের প্রতিদ্বন্দ্বী। জাপানের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলে রাশিয়াকেও উল্লেখযোগ্য হুমকি বলে বিবেচনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেল নয়, আগামী বাণিজ্য যুদ্ধ হবে ধাতুর বাজার ঘিরে
তবে জাপানের ‘নিজেদের রক্ষা করতে’ ‘প্রতি-আক্রমণের’ সক্ষমতা অর্জনে যে সমর প্রস্তুতি তা কী কেবলই প্রতিরক্ষামূলক? নাকি আক্রমণাত্মকও? এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছেন মার্কিন থিংক ট্যাংক ইউনাইটেড স্টেটস ইনস্টিটিউট অব পিসের চীন ও পূর্ব এশিয়া বিষয়ক সিনিয়র পলিসি এনালিস্ট মিরনা গ্যালিক। তিনি বলেছেন, ‘প্রতি-আক্রমণ বা কাউন্টার স্ট্রাইকের বিষয়টি বিতর্কিত। কারণ, এর জন্য যে ধরনের অস্ত্রের প্রয়োজন তা আগে আক্রমণ করার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা সম্ভব।’ যদিও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, ‘এমন একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে যা প্রতিরক্ষামূলক, আক্রমণাত্মক নয়।’ তার এই ব্যবস্থা গড়ে তোলার নির্দেশনা থেকে আরেকটি বিষয়ের অনুমান করা যেতে পারে। সেটি হলো, জাপান নিজস্ব সামরিক শিল্পের বিকাশ ঘটাতে পারে। সম্প্রতি জাপানের রেকর্ড ৮৬৩ বিলিয়ন ডলারের সামরিক বাজেট প্রস্তাব করার বিষয়টি থেকেও সমরশিল্প বিকাশের অনুমান আরও পোক্ত হয়।
সবমিলিয়ে বলা যেতেই পারে, জাপান দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নেমেছে। চীন, উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়ার তরফ থেকে যে পরিমাণ হুমকি জাপানি সমর-কৌশলবিদরা নিরুপণ করতে পারবেন বা করবেন তার কাউন্টার বা জবাব দেয়ার জন্য জাপানকে যে পরিমাণ সমরসজ্জা করতে হবে তা রাতারাতি করা সম্ভব নয়। তাই জাপানের এই সামরিকায়ন এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে অস্ত্রের ঝনঝনানি আরও বাড়িয়ে তুলবে।
২০১৩ সালে জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত শিনজো আবে যখন জাপানের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল প্রণয়ন করেন তখন কেবল চীন-উত্তর কোরিয়াকে সম্ভাব্য হুমকি বলে বিবেচনা করেছিল। ১০ বছরের দৌঁড়ে চীন কতটা এগিয়ে গেছে তা বোধহয় না বললেও চলে। উত্তর কোরিয়াও পিছিয়ে নেই সমরসজ্জায়। পিয়ংইয়ং একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। সেনা ও অস্ত্রের সংখ্যা বাড়াচ্ছে না তা জোর দিয়ে বলার অবকাশ নেই। চীন তার সমরশক্তির খানিকটান নমুনা তাইওয়ান সংকটের সময় প্রদর্শন করেছে। ফলে ‘শান্তিকামী’ জাপানের জন্য সম্ভাব্য হুমকি থেকে নিজ ভূখণ্ডকে রক্ষায় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও সেই মাত্রায় নিয়ে যেতে হবে, যে মাত্রায় নিয়ে গেলে তিনটি রাষ্ট্রের হুমকি মোকাবিলার সক্ষমতা তৈরি হবে। এর মধ্যে দুটি রাষ্ট্র যেহেতু আবার অন্যতম বৈশ্বিক পরাশক্তি তাই জাপানের সমরসজ্জার দৌঁড় সহজে থামবে না বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
১০ বছর আগেও জাপান রাশিয়াকে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা রক্ষায় অন্যতম কূটনৈতিক সম্পদ বলে বিবেচনা করতো। আর এখন সেই রাশিয়াই জাপানের অন্যতম হুমকি বলে বিবেচিত হচ্ছে। সর্বশেষ জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলে জাপান রাশিয়াকে ‘বিপজ্জনক ধ্বংসকারী’ শক্তি হিসেবে বিবেচনা করছে। এক্ষেত্রে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ বড় একটি ভূমিকা পালন করেছে।
জাপানের উত্থান এই অঞ্চলে সামরিক ভারসাম্য আনবে কিনা এই প্রশ্ন তুলতে পারেন অনেকে। অনেকে যুক্তি দেখাতে পারেন জাপান শক্তিশালী হলে চীনের সঙ্গে তা এই অঞ্চলে ডিটারেন্স হিসেবে কাজ করবে। কিন্ত বিষয়টি বোধহয় অতটা সহজ নয়। কারণ চীনের বাইরেও জাপানের আরও দুই হুমকি রয়েছে, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়া। বিশ্লেষকদের মত, জাপান মুখে যাই বলুক, তারা মূলত চীনকে পাখির চোখ করেই নিজেদের সমরশক্তিকে এগিয়ে নিচ্ছে।
বিষয়টা আরও স্পষ্ট হয় দ্য ইকোনমিস্টের এক নিবন্ধ থেকে। সেখানে জাপানি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে যে, জাপানের সামরিকায়নের লক্ষ্য কখনোই চীনের মূল ভূখণ্ড নয়। তবে জাপানি জলসীমায় চীনের গণমুক্তি ফৌজের সৈন্য, যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান এলে তা অবশ্যই জাপানের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে। এক জাপানি কূটনীতিবিদ নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইকোনমিস্টকে বলেছেন, ‘বিগত ১০ বছর ধরে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তিনটি ভয়াবহ হুমকি বিরাজ করছে। হুমকিগুলো হলো চীন, চীন এবং চীন।’
আরও পড়ুন: নতুন বছর রাশিয়ার অর্থনীতি ভালো অবস্থানে থাকবে!
এর বাইরেও একটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর তা হলো যুক্তরাষ্ট্র। এশিয়া তো বটেই, বিশ্বের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চীন। তাইওয়ানকে ঘিরে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। সর্বশেষ চীনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই যুক্তরাষ্ট্রকে চরমসীমা অতিক্রম না করার হুমকি দিয়েছেন। তাইওয়ান সংকটের পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে আবার নতুন করে শুরু হয়েছে চিপ-যুদ্ধ। ইলেকট্রনিক্স শিল্পের এই গুরুত্বপূর্ণ উপাদনটি নিয়ে দুই দেশের লড়াই ভালোই উত্তাপ ছড়াচ্ছে। ফলে জাপান যদি চীনের জন্য একটি বিকল্প হিসেবে হাজির হয় তা বোধহয় যুক্তরাষ্ট্রের জন্যই ইতিবাচক। কারণ, এককভাবে ভারতের পক্ষে চীনকে টেক্কা দেয়া সম্ভব হচ্ছিল না এবং ভারত তার জাতীয় স্বার্থেই চীন-রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব জিইয়ে রাখতেও চায় না।
তাই দেখা যায়, ভারত চীনের সঙ্গে যেমন সাংহাই কো-অপারশেন অর্গানাইজেশন এবং ব্রিকসের মতো অর্থনৈতিক জোটে চীনের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে চলে। আবার পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পরও রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানি করে। কিন্তু জাপান চীনের ঐতিহাসিক শত্রু। তাই জাপানের উত্থান এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রকে খানিকটা স্বস্তি দেবে। এছাড়া জাপান কোয়াড জোটেরও সদস্য। তাই জাপান যদি বলিয়ান হয়ে উঠে তবে জোটে তার অংশীদারত্বও বাড়বে। যা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয়ের বোঝা হালকা করতে সহায়তা করবে। বিশ্লেষকদের অনুমান, জাপানের উত্থানে কোয়াডের কার্যকারিতা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ জোটের আরেক সদস্য অস্ট্রেলিয়াও কমবেশি নিজেরে সশস্ত্র করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আর কোয়াড কার্যকর হলে তা চীনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। জবাবে চীনও নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধি আরও দ্রুত করবে। এভাবে পাল্টাপাল্টি সামরিকায়নের মাত্রা ভূরাজনৈতিকভাবে অস্থির এশিয়া-প্যাফিকিকের জন্ম দেবে। চীন-রাশিয়া বলয়ের বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র-জাপান বলয়ের মধ্যে আরকেটি স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
সব মিলিয়ে বলা যায়, জাপানের বর্তমান সামরিকায়নের বীজ দেশটির অতীত ইতিহাসেই লুক্কায়িত ছিল এবং এক্ষেত্রে জাপানের মূল লক্ষ্য চীন। এর বাইরে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়াও রয়েছে জাপানের সম্ভাব্য হুমকির তালিকায়। এই চারটি শক্তির মধ্যে অস্ত্রের প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেলে তা এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলকে আরও উত্তপ্ত করে তুলবে।
তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা, রয়টার্স, এশিয়া টাইমস, ইউনাইটেড স্টেটস ইনস্টিটিউট অব পিস এবং দ্য ইকোনমিস্ট
সাম্প্রতিক সময়
চলতি বছরে মন্দায় পড়বে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ দেশ: আইএমএফ প্রধান
২ মিনিট আগে
আন্তর্জাতিক
চলতি বছরে মন্দায় পড়বে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ দেশ: আইএমএফ প্রধান
চলনবিলের খালে পড়ে ছিল যুবকের মরদেহ
১১ মিনিট আগে
বাংলাদেশ
চলনবিলের খালে পড়ে ছিল যুবকের মরদেহ
স্বামীর ঋণের দায়ে প্রাণ দিলেন স্ত্রী
১৮ মিনিট আগে
বাংলাদেশ
স্বামীর ঋণের দায়ে প্রাণ দিলেন স্ত্রী
আবারও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে লুলার শপথ
২৫ মিনিট আগে
আন্তর্জাতিক
আবারও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে লুলার শপথ
নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে মাহির প্রতিক্রিয়া
৪৪ মিনিট আগে
রাজনীতি
নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে মাহির প্রতিক্রিয়া
মেসিকে প্রথমে আনতে চেয়েছিলেন আল নাসের কোচ
৫৪ মিনিট আগে
খেলা
মেসিকে প্রথমে আনতে চেয়েছিলেন আল নাসের কোচ
আরও সময় সংবাদ
চীনে ৯০ দিনে কোভিডে আক্রান্ত হতে পারে ৮৫ কোটি মানুষ
আন্তর্জাতিক
২০ ডিসেম্বর ২০২২
চীনে ৯০ দিনে কোভিডে আক্রান্ত হতে পারে ৮৫ কোটি মানুষ
চীনে কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পর থেকেই হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। মৃত্যুও হচ্ছে। এ অবস্থার মধ্যেই দুঃসংবাদ দিয়েছেন মহামারি বিশেষজ্ঞ এবং স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদ এরিক ফিল-ডিং। তিনি শঙ্কা ব্যক্ত করেছেন, বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে চীনের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৮৫ কোটি মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে।
এশিয়াকে কেন সস্তায় তেল দিচ্ছে রাশিয়া
সময় স্পেশাল
১২ ডিসেম্বর ২০২২
এশিয়াকে কেন সস্তায় তেল দিচ্ছে রাশিয়া
সম্প্রতি রাশিয়ার জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ করে দেয়ায় বিশ্ববাজারে দেখা দিয়েছে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা। এ অবস্থায় প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো যখন বিশ্বব্যাপী তেলের দাম একই ধারায় রাখতে আগ্রহী, তখন এশিয়ার ক্রেতাদের জন্য হ্রাসকৃত মূল্যে তেল সরবরাহ করছে রাশিয়া। কিন্তু কেন দেখা যাক।
ফ্রান্স এশিয়ায় সংঘাত চায় না: ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ
আন্তর্জাতিক
১৯ নভেম্বর ২০২২
ফ্রান্স এশিয়ায় সংঘাত চায় না: ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ
এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে ফ্রান্সের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এ অঞ্চলের ‘সংঘাত’ অবসানের আহ্বান জানিয়েছেন। ব্যাংককে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার (এপেক) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান। খবর এনডিটিভির।
প্রতিবেশীদের অগ্রাধিকার দেয়ার সময় এসেছে ভারতের
সময় স্পেশাল
১৭ নভেম্বর ২০২২
প্রতিবেশীদের অগ্রাধিকার দেয়ার সময় এসেছে ভারতের
আঞ্চলিক রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চীন-ভারতের প্রতিযোগিতা কারো অজানা নয়, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার তুলনামূলক ছোট অর্থনীতির দেশগুলোর ওপর তাদের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। গত দুই দশকে এ ক্ষেত্রে চীনের দাপট চোখে পড়ার মতো হলেও, প্রতিবেশীদের মধ্যে নিজের প্রভাব পুনরুদ্ধার করতে শুরু করেছে ভারত। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভয়াবহ রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াতে বেইজিংয়ের ব্যর্থতা দৃশ্যপটে তুলে আনছে দিল্লিকে। এ ছাড়া এ অঞ্চলের অন্য দেশগুলোতেও ধারাবাহিকভাবে সহযোগিতা বাড়াচ্ছে ভারত।
Copyright Banglar Kontho ©2024
Design and developed by Md Sajibul Alom Sajon