আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোরে বিমান হামলার সাইরেন বেজে ওঠে। এ সময় হামলার আশঙ্কায় বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ। খবর আল জাজিরার।
ফেব্রুয়ারিতে হামলা শুরুর পর বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) পর্যন্ত এযাবৎকালের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনজুড়ে বিভিন্ন শহরে কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, কিয়েভের নগর কর্তৃপক্ষ, সকালে টেলিগ্রাম চ্যানেলে বিমান হামলার ব্যাপারে সতর্কতা জারি করে এবং বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানায়।
কিয়েভ অঞ্চলের গভর্নর টেলিগ্রামে বলেন ‘ড্রোন হামলা অব্যাহত আছে।’
একজন প্রত্যক্ষদর্শী সংবাদমাধ্যমকে জানান, কিয়েভের ২০ কিলেমিটার দক্ষিণে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বৃহস্পতিবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, মধ্য, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম ইউক্রেনে দেশটির বিমান বাহিনী বৃহস্পতিবার রাশিয়ার ৫৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ১১টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তিনি আরও বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বেশির ভাগ এলাকা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন অধিকাংশ অঞ্চলের মানুষ।
আরও পড়ুন: শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বিবেকহীন বর্বরতা: ইউক্রেন
এর আগে বৃহস্পতিবার রাজধানী কিয়েভ, খারকিভ, ওদেসা লাভিভসহ ইউক্রেনজুড়ে একযোগে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টার বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, একসঙ্গে ১২০টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে রুশ বাহিনী। বিভিন্ন বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ ইউক্রেনের।
হামলার পর ইউক্রেনের বিমানবাহিনী বলছিল, এবারের হামলা একেবারেই ভিন্ন। একযোগে স্থল ও সমুদ্র থেকে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এ ছাড়া ইরানের তৈরি কামিকাজি ড্রোন দিয়েও মিসাইল হামলার অভিযোগ করেছে কিয়েভ।
আরও পড়ুন: ৫৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার দাবি ইউক্রেনের
এদিকে যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়া আলোচনায় বসতে প্রস্তুত আছে জানালেও গত নভেম্বরে জি-২০ দেশগুলোর নেতাদের সামনে জেলেনস্কির দেয়া ১০ দফা শান্তি প্রস্তাব মানা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে মস্কো। ওই প্রস্তাবে ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার, অধিকৃত চারটি অঞ্চল ফিরিয়ে দেয়া এবং খাদ্য, জ্বালানি, পারমাণবিক ও যুদ্ধবন্দিদের নিরাপত্তার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। রাশিয়া বলছে, অধিভুক্ত অঞ্চলগুলো এখনকার বাস্তবতা। এটা মেনে নিয়েই আলোচনায় বসতে হবে ইউক্রেনকে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। চলমান সামরিক অভিযানে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। ইউক্রেনের খারকিভ, খেরসন, দনবাস, জাপোরিঝিয়াসহ অনেক শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
Copyright Banglar Kontho ©2022
Design and developed by Md Sajibul Alom Sajon