ইউরোপজুড়ে এ বছর বড়দিনের উৎসব অন্যান্য বছরের তুলনায় নিষ্প্রভ ছিল। রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার পর ইউরোপের একের পর এক সরকার তাদের দেশে বিদ্যুৎ ব্যবহার কমানোর ঘোষণা দিয়ে চলেছে।
প্যারিসের আইকনিক অনেক ভবনে কিংবা লন্ডনের অক্সফোর্ড স্ট্রিটের বড়দিনের বিখ্যাত আলোকসজ্জা এবার হয়নি। জার্মানির সরকার জ্বালানি ব্যবহার কমানোর জন্য প্রচারাভিযান চালিয়েছে। ইউরোপের একেবারে পূর্ব সীমান্তের যুদ্ধ পশ্চিম ইউরোপের প্রতিটি ঘরবাড়িতে আছড়ে পড়েছে।
জ্বালানিকে অস্ত্রে পরিণত করা রাশিয়ার শীতকালীন যুদ্ধকৌশলের অংশ। ক্রেমলিন আশা করছে, শীতকাল পশ্চিমাদের নৈতিকতায় চপেটাঘাত করবে এবং ইউরোপকে বিভক্ত করবে। মাসের পর মাস ধরে চলা এই যুদ্ধের কারণে বিশ্বে খাদ্যপণ্যের সরবরাহ শৃঙ্খল ভেঙে পড়েছে এবং প্রধান খাদ্যশস্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। এতে আরব ও আফ্রিকার দেশগুলোতে আতঙ্কজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
কিন্তু মস্কো মনে করে শীতকালীন যুদ্ধ তাদের কাছে এক গোপন অস্ত্র। ইউরোপের সরকারগুলো মস্কোর ওপর যে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তার পাল্টায় তাদের ঠান্ডায় জমিয়ে রেখে এবং ইউক্রেনজুড়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অবকাঠামো ধ্বংস করে দিয়ে ইউক্রেনীয়দের মনোবল গুঁড়িয়ে দিতে চায় রাশিয়া।
Copyright Banglar Kontho ©2022
Design and developed by Md Sajibul Alom Sajon