রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, যুদ্ধাবস্থার মধ্যেও দেশটির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে। বিশেষ করে সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়ে বিপুল পরিমাণে দুর্নীতি হচ্ছে বলে জানতে পেরেছেন জেলেনস্কি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে জেলেনস্কি এ হুঁশিয়ারি দেন।
রোববার রাতে প্রকাশিত এক ভিডিও ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, অতীতে আমরা কীভাবে কাজ করেছি সেই ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই। বিশেষ করে কিছু মানুষ যেভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করেছে এবং ক্ষমতার পেছনে ছুটেছে, সেখানে ফিরে যাওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই।’
আরও পড়ুন: যেভাবে পশ্চিমা অস্ত্রের পরীক্ষাগার হয়ে উঠল ইউক্রেন
দুর্নীতির সঙ্গে ইউক্রেনীয়দের পরিচয় নতুন নয়। দেশটির ইতিহাসে দুর্বল শাসনব্যবস্থা বরাবরই দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। ২০২১ সালে ইউক্রেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতির তালিকায় বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে ১২২ তম স্থান দখল করে, যা রাশিয়ার চেয়ে খুব একটা ভালো নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নও তাদের সদস্যপদের জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে ইউক্রেনে দুর্নীতি নির্মূল করাকে অন্যতম শর্ত হিসেবে দিয়েছিল।
জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘এ সপ্তাহেই প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের উপযুক্ত সময়। কী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, তা এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়ে গেছে। আমি এখনই সেটা সামনে আনতে চাচ্ছি না। তবে যথাসময়ে তা দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে যাবে।’
২০১৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর জেলেনস্কি ইউক্রেনের শাসনব্যবস্থার খোলনলচে বদলে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। জেলেনস্কি আরও বলেছেন, তিনি সরকার গঠনের পরপরই তার মন্ত্রিসভার এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের তদন্ত চলায় সেই মন্ত্রী পদত্যাগ করেছিলেন।
Copyright Banglar Kontho ©2024
Design and developed by Md Sajibul Alom Sajon