জাপানে জন্মহার বাড়াতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। সোমবার এক পার্লামেন্ট অধিবেশনে জাপানের এই দীর্ঘমেয়াদী সংকট সমাধানে সরকারের অবস্থান কেমন হওয়া উচিত, তা তুলে ধরেন তিনি।
অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে নিম্ন জন্মহারের জেরে অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছেছে, এখন দেশের সামাজিক কাঠামো ও কার্যক্রম ঠিক রাখাই সবচেয় বড় চ্যালেঞ্জ। যদি এভাবে চলতে থাকে, সেক্ষেত্রে সামনে সব দিকে চরম বিপর্যয় নেমে আসবে।’
‘তাই জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্য যা করার দরকার— তা এখনই শুরু করতে হবে আমাদের; আর দেরি নয়। এখন এই ইস্যুতে নিষ্ক্রিয় থাকার অর্থ হলো সমূহ ধ্বংসকে আমন্ত্রণ জানানো।’
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, জাপানে ২০২১ সালে রেকর্ড কম জন্মহার দেখা গেছে। সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশটিতে স্বাভাবিকভাবেই জনসংখ্যা হ্রাসের হার সবচেয়ে বেশি।
কিশিদা জানিয়েছন, আগামী এপ্রিলে সমস্যাটি মোকাবেলায় নতুন একটি সরকারী সংস্থা স্থাপন করা হবে। একইসঙ্গে জুনের মধ্যে শিশু-সম্পর্কিত বাজেট দ্বিগুণ করার পরিকল্পনাও জমা দেবেন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের জাতি তার সামাজিক কার্যকলাপ বজায় রাখতে পারবে কী পারবে না তা নিয়ে একটি সংকটপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা “হয় এখনই নয়তো কখনই নয়”-নীতির ভিত্তিতে জন্মহার এবং শিশুর লালন-পালন সংক্রান্ত বিষয়টি মোকাবিলা করতে চাই।’
বর্তমানে প্রায় ২৮ শতাংশ জাপানির বয়স ৬৫ বছরের বেশি। বছরের পর বছর ধরে জাপান কঠোর অভিবাসন নীতি বজায় রেখেছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বার্ধক্যের হার কমানোর জন্য এই বিধি শিথিল করা দরকার। উল্লেখ্য, জাপানের বর্তমান জনসংখ্যা ১২ কোটি ৬০ লাখের মতো।
Copyright Banglar Kontho ©2024
Design and developed by Md Sajibul Alom Sajon