মিসর গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে বিরতি ও জিম্মি-বন্দি বিনিময় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আলোচনা পুনরায় শুরুর প্রচেষ্টা জোরদার করেছে। মঙ্গলবার রাষ্ট্র সংযুক্ত গণমাধ্যম আল-কাহেরা নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
মিসরীয়, কাতারি ও মার্কিন মধ্যস্থতাকারীদের জড়িত আলোচনা মে মাসের শুরু থেকে অচলাবস্থায় রয়েছে। সেই সময় ইসরায়েল গাজা উপত্যকার দক্ষিণের শহর রাফাতে স্থল বাহিনী প্রেরণ করে এবং মিসরের সঙ্গে নিকটবর্তী সীমান্ত ক্রসিংয়ের ফিলিস্তিনি দিকটি দখল করে।
মিসরীয় রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত আল-কাহেরা নিউজ বলেছে, কায়রো একটি ‘যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি’র জন্য আলোচনা ‘পুনরায় চালুর প্রচেষ্টা জোরদার করেছে’।
গণমাধ্যমটি একটি উচ্চ-পর্যায়ের সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে জানিয়েছি, ফিলিস্তিনি শহর রাফাতে গণহত্যা ও উত্তেজনার বিষয়ে ইসরায়েলের জেদ আলোচনার পথকে দুর্বল করে দেয় এবং এটি ভয়াবহ পরিণতির দিকে নিয়ে যায়।’
সূত্রটি আরো জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি ও আন্তর্জাতিক পক্ষগুলো ছাড়া কায়রো রাফা ক্রসিংয়ের মাধ্যমে সহায়তা পাঠাতে অস্বীকার করেছে এবং তারা ইসরায়েলি পক্ষের সঙ্গেও সমন্বয় করবে না বলেছে।
যখন গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাফা শহরের পশ্চিমে একটি বাস্তুচ্যুত শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছে, তখন এ খবর এলো।
এদিকে ইসরায়েল ও মিসরের মধ্যে উত্তেজনা এই মাসে বেড়েছে৷ মিসর ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম আরব রাষ্ট্র এবং ঐতিহাসিকভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেছে।
গাজায় সর্বকালের সবচেয়ে মারাত্মক যুদ্ধটি ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর শুরু হয়। ইসরায়েলের সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, সেই হামলায় এক হাজার ১৭০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক ছিল৷ পাশাপাশি যোদ্ধারা ২৫২ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়, যাদের মধ্যে ১২১ জন গাজায় রয়ে গেছে। তবে এর মধ্যে ৩৭ জন মারা গেছে বলে সেনাবাহিনী বলছে।
অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুসারে, হামাস পরিচালিত অঞ্চলে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণে কমপক্ষে ৩৬ হাজার ৯৬ জন নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
সূত্র : এএফপি
Copyright Banglar Kontho ©2024
Design and developed by Md Sajibul Alom Sajon