ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নেওয়া পদক্ষেপের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান রেভ্যুলেশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)। বাহিনীর মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেছেন, ইইউর সিদ্ধান্ত ইরানি জাতির বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক ধারাবাহিক অবস্থান নিয়েছে। আইআরজিসিকে নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ মূলত একটি বিশ্বযুদ্ধের অংশ।
সম্প্রতি ইরানের আইআরজিসিকে সন্ত্রাসী তালিকায় স্থান দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইরান মনে করে, ইরানি নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ।
মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেন, কিছু ইউরোপীয় দেশ যারা ইরানি জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে। বিশেষ করে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি এবং ডাচ ল্যান্ডের মতো দেশ এই সঙ্কটকে ত্বরান্বিত করতে চায়। তাদের লক্ষ্য একটি বিশ্বযুদ্ধ বাঁধানো। কিন্তু তারা সফল হবে না। কারণ ইরানের রয়েছে বড় বড় বিশ্বশক্তিকে পরাজিত করার অভিজ্ঞতা।
আইআরজিসি কমান্ডার বলেন, বিগত ১২০ বছরের ইতিহাসের দিকে ইউরোপের তাকানো উচিত হেনরি ক্যাম্পবেল, বেলফোর থেকে চার্চিল, জেমস ক্যালাহান, থ্যাচার, ক্যামেরন, টনি ব্লেয়ার সবাই ইরানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। তারাও যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে সংকট সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তেহরান তা সফল হতে দেয়নি।
ওই কমান্ডার বলেন, তারা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, হত্যা এবং গণহত্যা চালিয়ে, এমনকি খাদ্যের অভাব সৃষ্টি করে ইরানের বিরুদ্ধে বারবার অভ্যুত্থান ঘটাতে চেয়েছে। ইরানি জাতির বিরুদ্ধে ফ্রান্সসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশ যে ষড়যন্ত্র চালিয়ে এসেছে, তা বিশ্ববাসীর কাছে স্পষ্ট। তারা ইরানকে টার্গেট করে ইরাকে মারণাস্ত্র আমদানি করতেও দ্বিধা করেনি।
মেজর জেনারেল সালামি বলেন, গত কয়েক মাস নিরাপত্তা সংকটে ইউরোপীয় দেশগুলোর ভূমিকা দেখলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। কীভাবে ইউরোপীয় দেশগুলো ইরানের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিকভাবে অবৈধ প্রমাণের চেষ্টা করছে। তারা পলাতক দাঙ্গাবাজদের নিরাপদে আশ্রয় দিচ্ছে। এগুলো ইরানির জাতির বিরুদ্ধে স্পষ্ট সন্ত্রাসবাদ। ফরাসিরা এমকেও সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে ১৭ হাজার নিরীহ যুবককে হত্যা করেছিল।
Copyright Banglar Kontho ©2024
Design and developed by Md Sajibul Alom Sajon